চকরিয়ায় নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণের পরেও হাটবাজারে জনাকীর্ণ ভীড়

রাজু দাশ, চকরিয়া ◑

করোনা সংক্রমন রোধে চকরিয়ায় এখন বড় প্রতিবন্ধকতা হাট-বাজারের জনসমাগম। চলমান সংকটে হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন, পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে একটি চিঠি সকল বিক্রেতা, ইজারাদার ও বাজার পরিচালনা কমিটি বরাবর প্রেরণ করা হয়। তবুও চকরিয়ার হাট বাজার গুলোতে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়নি।

পৌর শহরসহ ৯টি ওয়ার্ড, ১৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চকরিয়ায় ছোট বড় মিলিয়ে শতাধিক হাট বাজার রয়েছে। সকল বাজারে ইউএনও,সেনা সদস্য আর পুলিশ বিরামহীন ভাবে ছুটে যাচ্ছেন। আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জনসমাগম বন্ধে কোনও ভূমিকা দেখেন কেউ ?

প্রশাসন চেষ্টা করেছেন কিন্তু সফল হতে পারতছেন না জনসমাগম বন্ধ করতে। দফায় দফায় সভা করেছেন। প্রশাসনকে ৩/৪জন জনপ্রতিনিধি ছাড়া কেউ সহায়তা করেননি। এসিল্যান্ড মোঃ তানভীর প্রতিদিনই বিভিন্ন বাজারে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

কোনও চেয়ারম্যানকে দেখিনি হাট বাজার জনসমাগম বন্ধে মাইকিং করিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট এলাকার বাজার কমিটি আর ব্যবসায়িদের সাথে বসে কোনও কার্যকর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমার জানা নেই।

ইজারাদারগণ এমন ভাব দেখিয়েছেন যেন বাজার খুলে রাখার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। জনপ্রতিনিধিরা তাদের নৈতিক দায়িত্ব ভুলে এমন ভাব করেছেন সব যেন প্রশাসনের কাজ।

এত দায়িত্বহীনতা আর মানুষের শৃংখলা ভঙ্গের কারনেই চকরিয়ায় করোনার হাট সামাজিক দূরত্বহীন আজও। সংকট যখন সকল মানুষের তখন প্রশাসনের দায়িত্ব আছে মানুষের ও।

জনপ্রতিনিধিরা সামনের কাতারে আসলেই মানুষকে সত্যিকার শৃংখলায় ফেরাতে পারবে। আসুন সবাই মিলে এ সংকটময় সময়ে ভেদাভেদ ভুলে মানুষের প্রাণ সুরক্ষা করি। কারও জীবন কারও একার নয়